আল্লাহর সাথে শিরক অমার্জনীয় গুনাহ
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ
“তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক্ করবে না।” (সূরা, নিসা-৪:৩৬)
“তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক্ করবে না।” (সূরা, নিসা-৪:৩৬)
শরিক শব্দরে আভধিানকি র্অথ- অংশীদারত্বি, অংশীবাদ, মলিানো, সমকক্ষ করা, অংশীস্থরি করা, সমান করা,ভাগাভাগ,ি সম্পৃক্ত করা।
পারভিাষকি পরচিতি-িক্স “শরীয়তরে পরভিাষায় যসেব গুনাবলী কবেল আল্লাহ্র জন্য নর্ধিারতি সসেব গুনে অন্য কাউকে গুনান্বতি ভাবা বা এতে অন্য কারো অংশ আছে বলে মনে করাই শরিক্।”
ক্স “শরিক্ হচ্ছে বান্দাহর আল্লাহর সাথে তাঁর রুবুবযি়্যাত সংক্রান্ত র্কম কংিবা তাঁর জাত ও আসমা ওয়াস সফিাতে তথা নাম ও গুনাবলী অথবা উলুহযি়্যাতে (ইবাদত)ে কাউকে শরীক করা”। (মরিাসলি আম্বযি়া, পৃঃ ৮)
ক্স শরিক্ হচ্ছে আল্লাহর সাথে এমন বষিয়ে সমকক্ষ স্থরি করা যটো আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। যমেন- আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করা, অন্য কারো নকিট আশা করা, আল্লাহর চাইতে অন্য কাউকে বশেী ভালবাসা, র্অথাৎ আল্লাহর ইবাদতরে কোন একটি অন্যরে দকিে সম্বোধন করাকে শরিক্ বল।ে
ক্স তাওহীদুল্লাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সর্ম্পকযুক্ত মানুষরে সকল বশ্বিাস, কথা ও কাজে আল্লাহর এককত্বরে উপলব্দি ও মনেে চলা। পক্ষান্তরে শরিক্ হচ্ছে এর সর্ম্পূণ বপিরীত।
ক্স ইমাম কুরতুবী বলনে, শরিক্ হল আল্লাহর নরিংকুশ প্রভূত্বে কারো অংশীদারত্বিরে আক্বীদা পোষণ করা।
ক্স আক্বীদার পরভিাষায়, শরিক্ হচ্ছে আল্লাহর সাথে সংশ্লষ্টি ও সীমাবদ্ধ কোন বষিয় আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো জন্য করা।
ক্স “শরিকরে ক্ষত্রেে একটা বষিয় লক্ষ্যনীয় য,ে এতে দু‘শরীকরে অংশ সমান হওয়া আবশ্যক নয়। বরং শতভাগরে একভাগরে অংশীদার হলওে তাকে অংশীদার বলা হয়। তাই আল্লাহতা‘য়ালার হকরে সামান্যতম অংশ অন্যকে দলিইে তা শরিকে পরণিত হব।েএতে আল্লাহর অংশটা যতই বড় রাখা হোক না কনে।”
শরিকরে ভয়াবহতা শরিকরে পরণিাম ভয়াবহ। এটি মানুষরে চুড়ান্ত ধ্বংস ডকেে আন।ে আল কোরআন ও সহীহ হাদীস থকেে এর ভয়াবহতার স্বরূপ তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ্।
শরিক্ সবচযে়ে বড় অপরাধ-বড় গুনাহ-আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ
“আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নশ্চিয়ই শরিক চরম যুলম।” (সূরা, লুকমান ৩১:১৩)
ইবনে মাসউদ (রাঃ) থকেে র্বনতি, তনিি বলনে এক ব্যক্তি বলল,
“হে আল্লাহর রাসুল সবচযে়ে বড় গোনাহ কোনট?ি” রাসুল(সঃ) বললনে, “আল্লাহর সাথে শরীক করা, অথচ আল্লাহই তোমাকে সৃষ্টি করছেনে।” (সহীহ বুখারী, মুসলমি)
শরিক্ এর অপরাধ/ গুনাহ আল্লাহ্ ক্ষমা করবনে না-
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ
“নশ্চিয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করনে না। এটি ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করনে। এবং কহে আল্লাহর শরীক্ করলে সে এক মহাপাপ আরোপ কর।ে” (সুরা, নসিা-৪:৪৮)
“নশ্চিয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে শরীক্ করা ক্ষমা করনে না। এটি ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করনে। এবং কহে আল্লাহর শরীক্ করলে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়।” (সুরা, নসিা-৪:১১৬)
জাবরি বনি আবদুল্লাহ হতে র্বণতি, নবী (সঃ) বলছেনে- “বান্দার জন্য র্সবদাই ক্ষমা রয়ছেে যতক্ষন র্পযন্ত হযিাব বা র্পদা পততি না হয়।” বলা হলো, “হে আল্লাহর রাসুল! হযিাব বা র্পদা ক?ি” তনিি বললনে,“আল্লাহর সাথে শরীক্ করা।” (মুসনাদে আহমদ, ইবনু কাছীর ১ম খন্ড ৬৭৮পৃঃ)
শরিক্ করলে জান্নাত হারাম এবং জাহান্নাম অবধারতি-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ
“হে বনী ইসরাইল! তোমরা আমার রব এবং তোমাদরে রব আল্লাহর ইবাদত কর। কউে আল্লাহর শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবনে এবং তার আবাস জাহান্নাম।” (সূরা, মায়দো-৫:৭২)
রাসুল (সঃ) বলছেনে, “যে ব্যক্তি কোন কছিুকে আল্লাহর সাথে শরীক্ করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ কর,ে সে জাহান্নামে যাব।ে” (মুসলমি)
শরিক্ করলে সব আমল বাতলি হয়ে যায় এবং ক্ষতগ্রিস্থদরে অর্ন্তভূক্ত হয়ে যায়-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ
“তোমার প্রতি এবং তোমার র্পূবর্বতীদরে প্রতি অবশ্যই এই ওহী হয়ছেে তুমি আল্লাহর সাথে শরীক্ করলে তোমার আমল নষ্ফিল হয়ে যাবে এবং অবশ্য তুমি হবে ক্ষতগ্রিস্থ।” (সূরা যুমার, ৩৯:৬৫)
সূরা আনফালরে ৮৩-৮৭ আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়লা ১৮ জন নবীর নাম নযি়ে তাদরে ব্যাপারে বলছেনে-
“এটি আল্লাহর হদোয়তে, নজি বান্দাহদরে মধ্যে যাকে ইচ্ছা তনিি এটি দ্বারা সৎপথে পরচিালতি করনে। তারা যদি শরিক্ করতো তবে তাদরে কৃতর্কম নস্ফিল হত।” (সূরা, আন‘আম-৬:৮৮)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়লা আরও বলনেঃ
“আমি তাদরে আমলরে প্রতি মনোনবিশে করব, অতঃপর সগেুলোকে বক্ষিপ্তি ধুলকিনায় পরণিত করে দবে।”(সূরা, ফোরক্বান-২৫:২৩)
শরিককারী ধ্বংসে এবং বর্পিযয়ে পততি হয়-
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ
“যে কউে আল্লাহর শরীক করে সে যনে আকাশ থকেে পড়ল, কংিবা বায়ু তাকে উড়যি়ে নযি়ে এক দূরর্বতী স্থানে নক্ষিপে করল।” (সূরা, হাজ্জ ২২:৩১)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা আরও বলনেঃ
“যারা আল্লাহর সাথে অপর ইলাহ বানযি়ে নযি়ছে,ে সুতরাং শীঘ্রই ওরা (মুশরকিরা) এর পরনিতি জানতে পারব।ে” (সূরা, হজির ১৫ঃ৯৬)
আবু হুরাইরা (রাঃ) থকেে র্বণতি, তনিি নবী (সঃ) থকেে র্বণনা করনে, নবী (সঃ) বলনে- “তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক বস্তু থকেে বঁেচে থাকব।ে” সাহাবাগণ বললনে, “হে আল্লাহর রাসুল সগেুলো ক?ি” রাসুল (সঃ) বললেনে, ‘‘আল্লাহর সাথে শরীক করা এবং যাদু———-।” (বুখারী ও মুসলমি)
শরিককারী মুশরকি অপবত্রি -
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ“নশ্চিয়ই মুশরকিরা অপবত্রি।” (সূরা, তাওবাহ-৯:২৮)
মুশরকিদরে জন্য দোয়া করা যাবে না-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ“আত্মীয়-স্বজন হলওে মুশরকিদরে জন্য ক্ষমা র্প্রাথনা করা নবী ও মু‘মনিদরে সংগত নয়, এ বষিয়টি সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা জাহান্নামী।” (সূরা, তাওবাহ ৯:১১৩)
মুশরকিরা সৃষ্টরি অধম-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘য়ালা আরও বলনেঃ“আহলে কতিাব ও মুশরকি কাফরেরা জাহান্নামরে আগুনে স্থায়ীভাবে থাকব।ে তারাই সৃষ্টরি অধম।” (সূরা,বাইয়্যনোহ ৯৮:৬)
শরিক্ করলে ঈমানদার ও কাফরে-মুশরকিে পরণিত হয়ে যায়-
ঈমান আনার পরওে কউে যদি আল্লাহর সাথে শরিক্ করে তবে সে কাফরে এবং মুশরকি হয়ে যায়। ইসলামী শরী‘য়া অনুযায়ী তাকে ‘র্মুতাদ’ বলা হয়। তার হুদুদ (শাস্ত)ি মৃত্যুদন্ড। রাসুল (সঃ) বললনে- “তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক ও র্সবনাশা গুনাহ থকেে বরিত থাক।’’ অত:পর শরিকরে কথা বললনে।
অত:পর বললনে- যে ব্যক্তি নজিরে দ্বীনকে পরর্বিতন কর(ের্অথাৎ ইসলামকে ত্যাগ কর)ে তাকে হত্যা কর।”(বুখারী, আহমাদ, কবীরা গুনাহ-বাংলাদশে ইসলামকি সন্টোর পৃঃ৭)
আল্লাহ সুবতানাহু ওয়াতা‘য়ালা বলনেঃ
“যদি তোমরা তাদরে (মুশরকিদরে) কথামত চল তবে তোমরা অবশ্যই মুশরকি হব।ে” (সূরা, আন‘আম ৬ঃ১২১)
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ সুবতানাহু ওয়াতা‘য়ালা মুসলমিদরেকে সাবধান করে দযি়ছেনে যদি তারা মুশরকিদরে আক্বীদা-বশ্বিাস, কাজ-র্কমে আনুগত্য করে তাহলে তারা মুশরকি হয়ে যাব।ে
শরিক মানবতার জন্য অবমাননাকর-
মানুষরে সম্মানকে ধূলায় লুন্ঠতি করে ও তার সার্মথ্যকে নচিু করে দযে়। তার র্মযাদাকওে নচিু করে দযে়, কারণ আল্লাহ পাক মানুষকে খলীফা হসিবেে দুনযি়াতে পাঠযি়ছেনে এবং তাকে সম্মানতি করছেনে এবং তাকে সমস্ত নাম শখিযি়ছেনে। তার অনুগত করে দযি়ছেনে; যা কছিু আছে আসমান ও যমীন,ে তাকে এই জগতরে সকলরে উপর নতেৃত্ব দযি়ছেনে। কন্তিু সে তার অবস্থাকে ভুলে গছে।ে ফলে সে এই জগতরে কোন কোন জনিসিকওে ইলাহ ও মাবুদ বানযি়ে নযি়ছে।ে তার কাছে নজিকেে ছোট করে এবং অপমানতি হয়। এর থকেে অসম্মানরে বষিয় আর কি হতে পারে যা আজকে দখো যাচ্ছে কোটি কোটি লোক হন্দিুস্তানে গাভীর পূজা করছে যাকে আল্লাহ পাক মানুষরে খদেমতরে জন্য সৃষ্টি করছেনে এবং তাকে ঝাঁক ধরে বসে আছ।ে তাদরে কাছে নজিদেরে প্রয়োজন নবিদেন করছ।ে অথচ তারাও তাদরে মতই আল্লাহ পাকরে দাস। না নজিদেরে জন্য তারা কোন উপকার করতে পার;ে না ক্ষতি করতে পার।ে দখে, হোসনে (রাঃ) নজিকেে শহীদ হওয়ার হাত থকেে বাঁচাতে পারনেি জীবতিাবস্থায়। তবে কমেন করে অপররে কষ্ট দূর করবনে এখন মৃত্যুর পর এবং ভালকে ডকেে আনবনে? মৃতরাই জীবতি মানুষরে দোয়ার মুখাপক্ষেী। তাই আমরা তাদরে জন্য দোয়া কর।ি আমরা যনে তাদরে কাছে দোয়া না চাই আল্লাহকে ছডে়।ে
আল্লাহ পাক এই সম্বন্ধে বলনেঃর্অথাৎ, “যারা আল্লাহকে ছডে়ে অন্যকে ডাকে তারা এতটুকুও জনিসি সৃষ্টি করে না, বরং তাদরেকইে সৃষ্টি করা হয়ছে।েমৃতরা কখনই জীবতিদরে সমান নয় এবং তারা জানে না কখন তাদরেকে কবর থকেে উঠানো হব।ে” (সুরা নহলঃ ২০)
এবং অন্যত্র আল্লাহ পাক বলনেঃ“যে আল্লাহ পাকরে সাথে কোন শরিক কর,ে যনে সে আকাশ থকেে পড়ে গছেে এবং এক পাখি তাকে ঠোঁট দযি়ে নযি়ছেে অথবা তাকে বাতাস বহু দূরে নক্ষিপে করছে।ে” (সুরা হজ্জঃ ৩১)
কুসংস্কার ও ভয়ঃ
যখোনে শরিক চলতে থাকে সখোনে নানা ধরনরে কুসংস্কার ও ভয় প্রকাশ পতেে থাকে কোন প্রকাশ্য কারণ ছাড়াই। আল্লাহ পাক এই সম্বন্ধে বলনেঃ
“যারা কুফরী করে আমি তাদরে অন্তরে ভয়কে নক্ষিপে করব। ঐ কারণে যে তারা আল্লাহর সাথে শরিক করছ,ে আর যে সম্বন্ধে আল্লাহ পাক কোন প্রমান পাঠানন।ি তাদরে ঠকিানা আগুন এবং জালমেদরে জন্য সটো কতই না নকিৃষ্ট জায়গা।” (সুরা আল ইমরানঃ ১৫১)
শরিকরে কারণ
কোরআন এবং সুন্নাহ থকেে আমরা এখানের্ শকিরে ৬ টি কারণ উপস্থাপন করছ,ি যনে সকলে এগুলো জনেে শরিক থকেে বঁেচে থাকতে পার-ে
আল্লাহ সর্ম্পকে মন্দ ধারণা ও খারাপ মনবেৃত্তি পোষণ করা-
মন্দ ধারণাই শরিকরে নপেথ্য কারণ। যে কোন শরিকরে পছেনে আল্লাহ সর্ম্পকে কোন না কোন দোষ-ত্রুটি ও মন্দ ধারণা কাজ কর।ে ভালবাসার বপিরীত এ মন্দ ধারণা পোষন করার কারণইে মানুষ আল্লাহকে ছডে়ে অন্যওে ইবাদত কর।ে গায়রুল্লাহকে তার জন্য আল্লাহর চযে়ে অধকি দয়ালু ও কল্যানকামী মনে কর।ে আল্লাহ সর্ম্পকে যারা মন্দ ধারণা পোষণ করে তাদরে ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলনেঃ
“এবং মুনাফকি পুরুষ ও মুনাফকি নারী, মুশরকি পুরুষ ও মুশরকি নারী যারা আল্লাহ সর্ম্পকে মন্দ ধারণা পোষন করে আল্লাহ তাদরেকে শাস্তি দবেনে। অমঙ্গল চক্র তাদরে জন্য। আল্লাহ তাদরে উপর রাগান্বতি হয়ছেনে এবং তাদরে প্রতি অভসিম্পাত করছেনে এবং তাদরে জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত রখেছেনে, তা কত নকিৃষ্ট আবাস।” (সূরা ফাতহ ৪৮ঃ৬)
মুশরকিদরে এ মন্দ ধারণার বরিুদ্ধে কঠোর প্রতবিাদ জানযি়ে তাওহীদরে ইমাম ইব্রাহীম (আঃ) তাঁর র্সূয্য, চন্দ্র, নক্ষত্র ও মূতি পুজারী জাতরি সামনে যে বক্তব্য দযি়ছেলিনে পবত্রি কুরআনে তা এভাবে উদ্ধৃত হয়ছে-ে
“তোমরা কসিরে পুজা করছ? তোমরা কি আল্লাহকে বাদ দযি়ে সর্ম্পূণ মথ্যিা অলীক মা’বুদগুলোকে চাও?তাহলে বশ্বি জাহানরে রব সমন্ধে তোমাদরে কি ধারণা?” (সূরা- সাফফাত ৩৭ঃ৮৫-৮৭)
এ কথার র্মম হলো, তোমরা রাব্বুল আলামীনরে মধ্যে কি ধরণরে দোষ-ত্রুটি ও মন্দরে ধারনা পোষণ করছ? যার ফলে তাকে পরত্যিাগ করছে এবং তাঁর পরর্বিতে এতসব মা’বুদ ও দবেতা বানযি়ে নযি়ছে? আল্লাহর সত্ত্বা, তাঁর গুনাবলী ও র্কাযাবলী সর্ম্পকে কি ধরণরে খারাপ মনোবৃত্তি পোষণ করছ? কি ধরণরে দোষ-ত্রুটি তাঁর মধ্যে আছে বলে ধারণা করছ?কি ধরণরে অক্ষমতা, অপারগতা, করুণার অভাব তাঁর মধ্যে আছে বলে তোমরা মনে করছ? যার ফলে সরাসরি তাঁর ইবাদত না করে ভায়া ও মাধ্যমরে পুজা করছ এবং তাদরে কাছইে কল্যাণরে প্রত্যাশা করছ? এবং অকল্যাণ থকেে বাঁচার জন্য তাদরে শরণাপন্ন হচ্ছ? ঊপরন্তু মুশরকিরা মনে করে য,ে আল্লাহ তাদরেকে দয়া করবনে না। এজন্যই তারা মাধ্যম ও ভায়া মা’বুদরে ইবাদত কর।ে আল্লাহর নকিট এসব ভায়া মা’বুদরে প্রভাব-প্রতপিত্তি আছে বলে বশ্বিাস কর।ে আল্লাহ তাদরেকে ভাল না বাসলওে ভায়া মা’বুদরা সুপারশি করলে সে সুপারশি আল্লাহ বাতলি করতে পারনে না।
সৃষ্টকিে স্রষ্টার সমতুল্য করা-
আল্লাহর সাথে শরিকরে কারণ হচ্ছ,ে সৃষ্টকিে স্রষ্টার সমতুল্য করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলনে-
“তাঁর সমতুল্য কোন কছিুই নইে এবং তনিি র্সবশ্রোতা, র্সবদ্রষ্টা।” (সূরা শুরা ৮২ঃ১১) “তাঁর সমতুল্য কউেই নইে।” (সূরা- ইখলাস ঃ৪)
অথচ মানুষ দু’আ, ভয়, আশা-ভরসা, সজিদা, মানত, কোরবানী এসব ইবাদত গুলো এককভাবে আল্লাহর জন্য নবিদেন না করে সৃষ্টকিওে এসব ইবাদতে শরীক করছ।ে পীর, ফকরি, মাজার, র্মুত,ি মৃত অলী-আউলযি়াদরে জন্য তারা এসব নবিদেন করার মাধ্যমে সৃষ্টকিে স্রষ্টার সমতুল্য করছ।ে আল্লাহ আমাদরে একমাত্র রব। অথচ মানুষ নবী, ফরেশেতা, জ্বীন,ওলী- আউলযি়া, পোপ-ফাদার, পুরোহতি, পীরবাবা, খাজাবাবা, দয়াল বাবা, কবর-মাজারস্থ মৃত ব্যক্ত,ি র্মুত-িদবেতার কাছে মানুষরে লাভ-ক্ষত,ি দান-বঞ্চনার ক্ষমতা আছে বলে মনে করে একমাত্র রব আল্লাহর সমতুল্য করছ।ে আল্লাহ একমাত্র আইন-বধিান দাতা, র্সাবভৌমত্বওে মালকি অথচ মানুষ মানুষরে জন্য আইন-বধিান দযি়ে র্সাবভৌমত্বওে মালকি সাজছ।ে এমনি আরো অসংখ্যভাবে মানুষ সৃষ্টকিে স্রষ্টার সমতুল্য করছ।ে
আল্লাহকে যথাযথ র্মযাদা না দযে়া-
শরিক মানে আল্লাহর সমস্ত র্মযাদাকে অস্বীকার করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলনেঃ
“তারা আল্লাহর যথোচতি সম্মান করে না। কযে়ামতরে দনি সমগ্র পৃথবিী থাকবে তাঁর হাতরে মুঠোয় এবং আকাশমন্ডলী ভাঁজ করা থাকবে তাঁর ডান হাত।ে পবত্রি মহান তনি।ি তারা যাকে শরীক করে তনিি তাঁর র্উদ্ধ।ে” (সূরা যূমার ৩৯ঃ৬৭)
আয়াতরে “হাক্কা ক্বাদরহিী” র্অথ যথাযথ র্মযাদা, যরেূপ র্মযাদা দতিে হয় সরেূপ র্মযাদা। পরপর্িূণ, অবভিাজ্য,অংশীদারমুক্ত র্মযাদা। সে র্মযাদার অপর নাম তাওহীদ, একত্ব, পরপর্িূণ আত্মসর্মপন। যে শরিক করল সে তাঁর র্মযাদা খন্ডতি করল, ভাগ করল, তাঁর র্মযাদার একাংশ অন্যকে দলি এবং আল্লাহকে দলি আংশকি র্মযাদা। আল্লাহকে যরেূপ র্মযাদা দযে়া উচতি সরেূপ র্মযাদা না দযে়ার কারণইে অনকেে আল্লাহর সাথে শরিক কর।ে
আল্লাহ সর্ম্পকে অজ্ঞতা ও র্মুখতা-
শরিকরে কারণ সমূহরে মধ্যে এটি হল জননী বা মাতৃ কারণ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলনেঃ
“বলুন, হে র্মূখরা! তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ব্যতীত অন্যরে ইবাদত করতে আদশে করছ?” (সূরা,যুমার-৩৯ঃ৬৪) “আল্লাহ এবং তাঁর একত্ব সর্ম্পকে র্মূখতা সবচযে়ে বড় র্মূখতা। আর আল্লাহর একত্ব সর্ম্পকে জ্ঞান হচ্ছে সবচযে়ে বড় জ্ঞান। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলনেঃ জনেে রখেো, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নইে।”(সূরা মুহাম্মদ-৪৭ঃ১৯)
সুতরাং আসুন আমরা এ সকল কারণ পরত্যিাগ করে ও আল্লাহ সব'হানাহু ওয়া তা'আলার সুন্দর এই দ্বীন সর্ম্পকে জ্ঞান র্অজন করে আমাদরেকে এই ধ্বংসাত্মক গুনাহ বা অপরাধ থকেে বাঁচাই।


0 comments:
Post a Comment