শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার উম্মাতদের যে দোয়া শিখিয়ে গিয়েছেন তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সহীহ দোয়া দেওয়া হলো।
১. শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, শ্রেষ্ঠ ইস্তেগফার হ’ল
"আল−-হুম্মা আংতা রব্বী লা- ইলা-হা ইল্লা- আংতা খলাক্বতানী ওয়া আনা- ‘আব্দুকা ওয়া আনা- ‘আলা- ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্ব‘তু ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিং র্শারি মা- স্বনা‘তু আবুউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা ওয়া আবুউ বিযামবী ফার্গ্ফিলী ফাইন্নাহূ লা- ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আংতা"।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমত তোমার প্রতিশ্র“তিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত কোন ক্ষমাকারী নেই’।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিবিষ্ট মনে উক্ত দো‘আ দিবসে পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার পূর্বে মারা যাবে, সে ব্যক্তি জান্নাতীদের অন্তভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ইয়াক্বীনের সাথে উক্ত দো‘আ রাতে পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে, সেও জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (বুখরী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘তওবা ও ইস্তিগফার’ অনুচ্ছেদ)।
২. ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করবে, আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তার উপর খুশী হয়ে যাবেন-
"রয্বীতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বী-নাওঁ ওয়া বিমুহ:াম্মাদিন নাবিয়্যা"।
অর্থ : ‘আমি আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নবী হিসাবে পেয়ে খুশি হয়েছি’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩৯৯)।
৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) সকালে বলতেন,
"আল−-হুম্মা বিকা আস্ব্বাহ:না- ওয়া বিকা আম্সাইনা- ওয়া বিকা নাহ্:ইয়া- ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাস্বীর"।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার সাহায্যে আমরা সকালে উঠি, আবার তোমার সাহায্যেসন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার নামে আমরা বেঁচে থাকি, তোমার নামে মৃত্যুবরণ করি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন’।
সন্ধ্যায় বলতেন,
"আল−-হুম্মা বিকা আম্সাইনা- ওয়া বিকা আস্ব্বাহ্:না- ওয়া বিকা নাহ:ইয়া- ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর"।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার সাহায্যে আমরা সকালে উঠি, আবার তোমার সাহায্যেই সন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার নামে আমরা বেঁচে থাকি এবং তোমার নামেই মৃত্যুবরণ করি। তোমার নিকট রয়েছে আমাদের পুনরুত্থান’ (ছহীহ আবুদাঊদ,মিশকাত হা/২৩৮৯, সনদ ছহীহ, ইবনু মাজাহ হা/৩৮৬৮)।
৪. আবু আইয়াশ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল−াহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় বলবে,
"লা- ইলা-হা ইল−াল−-হু ওয়াহ্:দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল্ মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুলি− শাইয়িং ক্বদীর"।
"লা- ইলা-হা ইল−াল−-হু ওয়াহ্:দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল্ মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুলি− শাইয়িং ক্বদীর"।
অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরহাতেই রয়েছে রাজত্ব। প্রশংসা একমাত্র তাঁরই। তিনি সকল বিষয়ের উপরক্ষমতাবান’।
এ আমল তার জন্য ইসমাঈল বংশীয় ১০জন দাসমুক্ত করার সমতুল্য গণ্য হবে এবং তার জন্য ১০টি নেকী লেখা হবে, ১০টি পাপ মোচন করা হবে এবং তার ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সারা দিন শয়তান হ’তে নিরাপদ থাকবে (ছহীহআবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩৯৫)।
0 comments:
Post a Comment