-->

20 June 2013

জুমার নামাজ কোন কোন ব্যক্তির উপর ফরজ


জুমআ কাদের উপর ফরজ ?

হুঁশ-জ্ঞান সম্পন্ন ও স্বাধীন প্রত্যেক বালেগ মুসলমান পুরুষদের উপর জুম
আ ফরজ। এ বিষয়ে সারকথা হচ্ছে, যার মধ্যে নিম্নে বর্ণিত শর্তগুলো একযোগে পাওয়া যায় তার উপর জুমআ ফরজ।

১. মুসলমান হওয়া (কারণ ইসলাম গ্রহন ছাড়া কোন ইবাদতই কবুল হয় না)।

২. বালেগ হওয়া (তবে নাবালেগ শিশু জুম
আ পড়লে সওয়াব পাবে)।

৩. হুঁশ জ্ঞান থাকা (কারণ বেহুঁশ বা পাগলের কোন ইবাদত নেই)।

৪. পুরুষ হওয়া (মেয়েদের উপর জুম
আ ফরজ নয়, তবে পড়লে আদায় হবে)।

৫. স্বাধীন হওয়া (গোলাম বা ক্রীতদাস হলে জুম
আ ফরয হয় না)।

৬. মুকীম হওয়া (মুসাফির অবস্থায় জুম
আ ফরজ হয় না)।

৭. শরয়ী উযর না থাকা (অসুস্থ, ভয়ভীতি বা নিরাপত্তাহীনতায় না থাকা)।

যাদের উপর জুমআ ফরয নয় তারা যদি জুমআ পড়ে তবে তা আদায় হয়ে যাবে। যেমন শিশু, মহিলা, রোগী বা উযর আছে এমন যে কেউ জুমআ পড়লে তা আদায় হয়ে যাবে এবং এর সওয়াব ও পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে তাদের আর যোহর পড়তে হবে না। তবে মেয়েরা ইমাম হতে পারবে না, খুৎবা দিতে পারবে না।

রাস্তায় কাদা থাকা, পথ পিচ্ছিল হওয়া ইত্যাদি কারণে কেউ জুমআয় যেতে না পারলে এমতবস্থায় তার গুনাহ হবে না। তবে বাসায় যোহর পড়ে নেবে। (বুখারীঃ৯০১, ইঃফাঃ৮৫৫, আধুনিকঃ৮৪৮; মুসলিমঃ৬৯৯)

যারা লোকালয়ের বাইরে বা সমুদ্রে এতটুকু দূরে কাজ করে যে, সেখান থেকে আযান শুনতে পায় না, তাদের উপর জুমআ ফরজ নয়, তবে এসে জুমআয় শরীক হতে পারলে সওয়াব পাবে। (ফাতাওয়া ইবনে উসাইমীনঃ১/৩৯৯)

মুসাফির ব্যক্তি জুমআর খুৎবা দিতে ও ইমামতি করতে পারবে। (ফাতাওয়া ইবনে উসাইমীনঃ৫/২৩)

জুমআ ফরজ এমন ব্যক্তির জুমআর দিনে সফরে বের হলে, পথিমধ্যে কোথাও জুমআ পড়তে পারে- এমন নিশ্চয়তা থাকলে একদল আলেমের মতে, এ দিন সফর করা জায়েয আছে। আর যদি কোথাও জুমআ না পাওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে এ দিন সফর করা উচিত নয়। তবে জুমআর সালাত শেষ হওয়ার পর সফর করতে কোন নিষেধ নেই।

সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু
আ ও খুৎবা (লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম; পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী, ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।)

0 comments:

Post a Comment

 
Copyright © . Al Quran And Sahih Hadis - Posts · Comments
Design by Kaisar Ahmmed