জুমার দিনে করণীয়ঃ
আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ সম্পাদন করে জুম'আর সলাত পড়তে আসবে এবং নীরবে মনোযোগসহকারে (খুতবা) শুনবে, তাঁর সেই জুম'আহ হতে পরবর্তী জুম'আর মধ্যবর্তী সময় তথা আরো তিন দিনের (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র) পাপসমূহ ক্ষমা ক'রে দেওয়া হবে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৫৭]
জুম'আহর দিন গোসল করাঃ
রাসূল (সা) বলেছেনঃ "তোমাদের কেউ যখন জুম'আহতে আসার ইচ্ছে করবে, তখন সে যেন গোসল করে। [সহীহ বুখারী, হাদীস ৯১৯]
বেশী বেশী দুরূদ পাঠ করাঃ
আওস ইবনে আওস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেনঃ তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম একটি দিন হচ্ছে জুমু'আহর দিন। সুতরাং ঐ দিনে তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দুরূদ পাঠ কর। কেননা, তোমাদের পাঠ করা দুরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। [সুনান আবূ দাঊদ, হাদীস ১০৪৭]
দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্তঃ
আবূ বুর্দাহ ইবনে আবূ মূসা আশ'আরী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) বললেন, আপনি কি জুম'আহর দিনের বিশেষ মুহূর্ত সম্পর্ক আপনার পিতাকে, রাসূলুল্লাহ (সা) হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন ? তিনি বললেন, আমি বললাম, হ্যাঁ।
আমি তাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহ্র রাসূল (সা) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে,"সেই মুহূর্তটা হচ্ছে ইমামের মিম্বরে বসা থেকে সলাত শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের ভিতর। [সহীহ মুসলিম,হাদীস ৮৫৩]
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেছেনঃ জুমু'আহর দিনের বার ঘন্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোন মুসলিম এ সময় আল্লাহ্র কাছে কিছু প্রার্থনা করে তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে তা দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। [সুনান আবূ দাঊদ, হাদীস ১০৪৮]
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে বর্ণীতঃ
রাসূল (সা) বলেছেনঃ জুম’আহর সলাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়।
(ক) এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর অনর্থক কথা ও কাজে লিপ্ত হয়, সে তাঁর 'আমল অনুসারে তাঁর অংশ পাবে।
(খ) আরেক শ্রেণীর লোক জুমু'আহয় এসে দু'আ করে, মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করে। তিনি ইচ্ছে করলে তাদের দু'আ কবুল করতে পারেন অথবা নাও করতে পারেন।
(গ) আরেক শ্রেণীর লোক জুমু'আহয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ
দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট
দেয় না, তার দুই জুম’আহর মধ্যবর্তী সাত দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।”
[সুনান আবু দাউদ, হাদীস ১১১৩]